হাওরে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজন কারাগারে

হাওরে নববধূকে গণধর্ষণের ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজন কারাগারে

হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলার টিক্কা হাওরে স্বামীকে বেঁধে রেখে নববধূকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ছাত্রলীগ নেতাসহ তিনজনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।

শুক্রবার (০৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে তিনজনকে হবিগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক সুলতান উদ্দিন প্রধান তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এরা হলেন- উপজেলার মুড়াকরি গ্রামের ইকবাল হোসেন ছোট্টু মিয়ার ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক সোলায়মান হোসেন রনি (২২), একই গ্রামের রুকু মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া (১৯) ও ইব্রাহীম মিয়ার ছেলে মিঠু মিয়া (২৩)।

হবিগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আনিসুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ জানায়, গত ২৫ আগস্ট উপজেলার মোড়াকরি গ্রামের এক যুবক তার নববধূকে নিয়ে টিক্কা হাওরে ঘুরতে যান। হাওরের মধ্যখানে যাওয়া মাত্রই একই গ্রামের মুছা মিয়ার নেতৃত্বে আট যুবক তাদের নৌকায় উঠে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে। পরে নির্জন স্থানে নিয়ে স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ভিডিও ধারণ করে। বিষয়টি কাউকে জানালে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয়। ঘটনার পর স্বামী-স্ত্রী ভয়ে বিষয়টি গোপন রাখেন। গত বুধবার স্ত্রীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন স্বামী।

ঘটনার পর সেই ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দিয়ে নববধূর স্বামীর নিকট ৯ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। অবশেষে তিনি নিরুপায় হয়ে বৃহস্পতিবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এ মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে র‌্যাব ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করে।

লাখাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদুল ইসলাম জানান, গ্রেফতার তিনজনকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে রনি ও মিঠুর পাঁচদিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন